বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলারটি আর্জেন্টিনার। এ ছাড়া রয়েছেন সার্জিও আগুয়েরো, আঙ্গেল ডি মারিয়া, গঞ্জালো হিগুয়েইন কিংবা পাওলো দিবালাদের মতো তারকা ফুটবলার। ওদিকে আইসল্যান্ড বিশ্বকাপে ‘নবাগত’। ২০১৬-তে ইউরোয় সাড়া জাগালেও বিশ্বকাপ-রোমাঞ্চে একেবারেই নতুন তারা। কাগজ-কলমের হিসাব বলছে, আর্জেন্টিনা অবশ্যই আইসল্যান্ডের চেয়ে যোজন ব্যবধানে এগিয়ে। কিন্তু মেসিদের পুরো শ্রদ্ধা থাকছে ইউরোপীয় দলটির প্রতি। সেই সঙ্গে থাকছে ভীতিও। হ্যাঁ, আইসল্যান্ডকে একটি জায়গায় রীতিমতো ভয়ই পাচ্ছেন মেসি-আগুয়েরোরা।
ভীতির জায়গাটা পুরোপুরি প্রাকৃতিক। মেসি-আগুয়েরোদেরও তাতে কোনো দোষ নেই। লম্বা হতে না পারাটা তো আর তাঁদের হাতে নেই। হ্যাঁ, ফুটবলীয় দক্ষতার প্রশ্নে মেসিরা হয়তো আইসল্যান্ডের ফুটবলারদের চেয়ে এগিয়ে, কিন্তু মাঠের লড়াইয়ে আক্রমণ আর রক্ষণে সেটপিস ঠেকানো আর হেড ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আইসল্যান্ডের খেলোয়াড়দের ঘিরে মেসিদের শঙ্কাটা ঠিক এখানেই।
উচ্চতা বিচারে এই বিশ্বকাপে আইসল্যান্ডের খেলোয়াড়েরাই সবচেয়ে লম্বা। গড় উচ্চতা ১.৮৫ মিটার (৬ ফুটের বেশি)। সে তুলনায় আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের উচ্চতা বেশ কম। বলা যায়, খেলোয়াড়দের উচ্চতা বিচারে এই বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা অন্যতম খর্বকায় দল। মেসি-আগুয়েরোদের গড় উচ্চতা ১.৭৯ মিটার (৫ ফুট ১০ ইঞ্চির একটু বেশি)। আইসল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনার সমস্যাটা কোথায়, তা এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন?
মেসিদের ব্যক্তিগত দক্ষতার সঙ্গে গিলফি সিগুর্ডসনেরা হয়তো পারবেন না। তবে নিজেদের উচ্চতা ব্যবহার করে আইসল্যান্ড যে এই খামতিটুকু কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করবে আর্জেন্টিনা কোচ হোর্হে সাম্পাওলি তা ভালোই বুঝতে পারছেন। আর তাই অনুশীলনে উচ্চতার সমস্যা কাটিয়ে ওঠার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।
অনুশীলনে দুই সেন্টার ব্যাক নিকোলাস ওটামেন্দি ও মার্কোস রোহোকে দিয়ে জোনাল ডিফেন্স করানোর চেষ্টা করছেন সাম্পাওলি। এ ছাড়া ম্যাক্সিমিলিয়ানো মেজা, লুকাস বিলিয়া ও ডি মারিয়ার মতো কিছুটা উচ্চতাসম্পন্ন খেলোয়াড়কে দিয়েও প্রতিপক্ষদের মার্কিং করানোর অনুশীলন করিয়েছেন আর্জেন্টিনা কোচ। দলটির গোলরক্ষক উইলি ক্যাবায়েরো আইসল্যান্ডকে নিয়ে এখনই বেশ সাবধান। তাঁর ভাষ্য, ‘ম্যাচটা অনেক কঠিন হবে। তাঁদের রক্ষণ খুব ভালো। মাঝখান দিয়ে আক্রমণ করা কঠিন। আমাদের উইং ব্যবহার করতে হবে।’